খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ মাঘ, ১৪৩১ | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  নগরীর শেখপাড়া তেতুলতলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্নব কুমার সরকার গুলিতে নিহত

চৌগাছায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত, পিস্তল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক যশোর

যশোরের চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড় দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি এবং দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।

শুক্রবার সকালে আবুল কালামের নেতৃত্বে বিএনপির এক পক্ষ মাছ ধরতে গেলে সালাহউদ্দীন ও আব্দুর রহিমের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হুদপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে শরিফুল, রবিউল ইসলামের ছেলে শাহদুল ইসলাম, চাদপুর গ্রামের অমির হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম, পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে উজ্জল হোসেন, কুটিপাড়ার মৃত মশিয়ার রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা, কারিগর পাড়ার তাইজুল ইসলামের ছেলে আব্দুস সামাদ, যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের জহুর আলী ছেলে বিএনপি নেতা কালাম হোসেন।

এদের মধ্যে কালামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

এছাড়া শরিফুল ইসলাম চৌগাছা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়টি সরকারি ইজারার মাধ্যমে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চাষ করে আসছিলেন। তবে বাওড়ের ২০% লাভের অংশ চুক্তি করে বিএনপির স্থানীয় দুই নেতা সালাহউদ্দীন ও আব্দুর রহিমের কাছে দেন। সম্প্রতি ওই শেয়ার আবার জেলা বিএনপির নেতা আবুল কালামের কাছে বিক্রি করা হয়।

বাওড়ের ইজারাদার আবুল কাশেম দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর মাছ লুট ঠেকাতে সালাহউদ্দীন ও আব্দুর রহিমের সঙ্গে চুক্তি করেই বাওড়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বাওড় সমিতির সিদ্ধান্তে আবুল কালামের কাছে ২০% শেয়ার বিক্রি করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম জানান, এই ঘটনা দলীয় কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি। এটা ব্যক্তিগত বিষয়। যারা এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপির কাছে জানানো হবে। দল কখনো এ ধরনের কাজ সমর্থন করবে না।

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় দুই পক্ষই পালিয়ে গেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি এবং দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!